হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অপরাধে সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে কথিত মাওলানা আবদুল ওয়াহিদকে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবতীসহ আটক করেছে পুলিশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ যুবতী সমাজের বিভিন্ন উঠতি বয়সী যুবকদের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে অর্থনৈতিক পায়দা লুটছে। এই মেয়ের দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে রয়েছেন একজন। এছাড়া আরও কয়েকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না তারা।
আদালত, পুলিশ ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হেফাজত নেতা কথিত মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ পরের সম্পদ আত্মসাৎকারী। তিনি স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম ও স্থানীয় স্বাধীনবাজার জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। মাদ্রাসা ও মসজিদের টাকা আত্মাসাৎ করার অপরাধে বেশ অনেকদিন পূর্বে বরখাস্তও হয়েছিলেন। এরপর নারীদের বিদেশে পাঠানোর কাজে লেগে যান। এ কাজে কম বয়সী গরীব মেয়েদের টার্গেট করেন। তাদের বিদেশে পাঠানোর নামে ঢাকা সিলেটে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরেন। সর্বশেষ গত ২৬ শে জানুয়ারী রোজ বুধবার সিলেট নগরের একটি আবাসিক হোটেলে একই ইউনিয়নের হাড়গ্রাম এলাকার অনিল দাস (মুচি অনিল) এর মেয়ে লিপি রানী দাসকে নিয়ে অবস্থানকালে মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। আটকের পর তাকে ও মুচি অনিলের মেয়ে লিপিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন ২৭ শে জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার তাদের নন-এফএআর মামলা দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
আটক ও আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে। পরবতীতে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।